চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জয়রামপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের আপ-ডাউন যাত্রাবিরতি (স্টপেজ) পুনর্বহালের দাবিতে দুই ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় শত শত মানুষ স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এসময় রাজশাহী থেকে খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসকে দেড় ঘণ্টা ও খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসকে আধা ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এতে উভয় ট্রেন জয়রামপুর স্টেশনের কাছে এসে থেমে যায়। পরবর্তীতে দেড় ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় জমজমাট থাকা জয়রামপুর রেলস্টেশন বর্তমানে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছেন। ট্রেন থামানোর দাবিতে তারা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন।
খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কর্মসূচিতে সাবেক সেনাসদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী, জয়রামপুর মানবকল্যাণ যুব সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মিলনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ১৮৬২ সালে গেদে থেকে জগতী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হয়। তখন থেকেই জয়রামপুর রেলস্টেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। একসময় এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, গেটম্যানসহ ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। এখন সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে।
বক্তারা আরও বলেন, জয়রামপুর রেলস্টেশন চালু থাকাকালে এই এলাকার প্রায় দুই লাখ মানুষ ট্রেনযোগে যাতায়াত করতেন। এখানকার ঐতিহ্যবাহী গুড়েরহাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুরের গুড় ট্রেনে করে পাঠানো হতো। গেটম্যান না থাকায় ইতোমধ্যে এই এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনায় তাজা প্রাণ হারিয়েছে সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে জয়রামপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা এবং স্টেশন পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার দাবি জানান।