ঢাকায় জাতিসংঘ মিশন সংস্কারে সহায়তা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে : প্রধান উপদেষ্টা

ঢাকায় জাতিসংঘ মিশন সংস্কারে সহায়তা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : July 30, 2025

ঢাকায় চালু হওয়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে এ মিশন রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন আয়োজিত ‘জুলাই অভ্যুত্থান ও তথ্য-উদ্ধার প্রতিবেদন’ শীর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ঢাকায় তিন বছর মেয়াদি মিশন চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে দুপক্ষ। ২৮ ধারা সংবলিত সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে। যার মাধ্যমে ঢাকায় জাতিসংঘের একটি সহায়ক মিশন প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এ মিশন বাংলাদেশকে সংস্কার কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নাগরিক সমাজকে মানবাধিকারের মতো সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় সংরক্ষণের জন্য সক্ষম করে তুলবে।

ড. ইউনূস বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের অন্ধকার দিনগুলোতে জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট এবং ২০২৪ সালের অন্ধকার সময় পর্যন্ত জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ সব মানুষের—ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা অবস্থান নির্বিশেষে অপরিহার্য অধিকার নিশ্চিত করতে যে ঘোষণা দিয়েছে, সেটি বাংলাদেশের সংবিধানে গভীরভাবে প্রোথিত।

সংস্থাটির প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ মানবজাতির জন্য এমন কিছু অধিকার নির্ধারণ ও রক্ষা করার অঙ্গীকার করে, যা জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থানের ঊর্ধ্বে। ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা’ বিশ্বের জন্য একটি নৈতিক দিকনির্দেশনা হয়ে ওঠে এবং তার নীতিগুলো আমাদের সংবিধানেও দীর্ঘদিন ধরে সংযোজিত রয়েছে।

Share This