উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : November 19, 2024

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানোর আগ পর্যন্ত পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন তারা। তবে সিদ্ধান্ত ইতিবাচক না হলে, সড়ক অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। 

 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা বারোটার দিকে তিতুমীর কলেজ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। দেখা যায়, কলেজের মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য সকালে পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলেও পরে শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে তারা বাইরে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে শোনা যায়।

 

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সম্মান জানিয়ে শেষবারের মতো তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আজ শুধু ক্লোজ ডাউন তিতুমীর কর্মসূচি চলবে। ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বা কোনোরকম চক্রান্ত কেউ করলে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বারাসাত ব্যারিকেড কর্মসূচি শুরু হবে। প্রয়োজনে আরো বড় কর্মসূচির ডাক দেওয়া হতে পারে।

 

তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, ঢাবি অধিভুক্ত অন্য ৬টি কলেজ, ঢাবি ও জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা চাইছেন না তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হোক। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। এটি আমাদের নতুন দাবি নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন হয়ে আসছিল।

 

এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, গতকাল ট্রেনে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। যে পরিবার আহত হয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা সেখানে যাব এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেব। আজ আমাদের চারজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। সেই অপেক্ষা আমরা করছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের রূপরেখা গঠন করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে আমরা আবার আন্দোলনে অংশ নেব। তবে তার আগ পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই অবস্থান করবে।

 

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসের বাইরে সতর্ক অবস্থায় দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

 

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) এ. এফ. এম তারিক হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আমরা চাইছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকুক। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরেই যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন।

Share This