দুর্নীতিবাজ এবং প্রতারক বরখাস্ত শহিদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিল আদালত।
বিডিআর হইতে চুরি এবং দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত শহীদ উদ্দিন খান যে নিজেকে বেআইনী ভাবে পরিচয় দেন কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান হিসাবে।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার এবং তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম, বড় মেয়ে এবং মেঝ মেয়ে পারিজা খানের বিরুদ্ধে প্রচ্ছায়া লিঃ এর পরিচালক হিসাবে শেখ রেহানা এবং তারেক সিদ্দিকীর স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এই শহীদ উদ্দিন খান যুক্তরাজ্য ২ টি বিলাসবহুল ভিলার মালিক, বাংলাদেশের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এ প্রায় ৩৮ কোটি টাকার এফডিআর জব্দ, টাকা সেনানিবাসে এবং সবকটি ডিওএইচএস এ মোট ২৮ টি ফ্লাট রয়েছে তার নামে বেনামে। ছোটভাইদেরকেও জড়িত করেছিলেন নিজের গার্মেন্টস কোম্পানিতে।
তিনি দেশ থেকে দুবাই এবং লন্ডনে পাচার করেছেন প্রায় হাজার কোটি টাকা। এই বাটপারের সাথে টাকার ভাগ বাটোয়ার নিয়ে শাহীন সিদ্দিকীর ঝামেলা বাধলে সে লন্ডনে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে এবং তার অবৈধ উপার্জন নিরাপদ করতে ভোল পাল্টে বিদেশে নিরাপদে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলের প্রলাপ করতে শুরু করে নিজেকে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট তারেক-শাহিন সিদ্দিকি গং হইতে নিজেকে বাঁচাতে। কথায় আছে চোরের দশদিন, তো গৃহস্থের একদিন। আজ এই বাটপারের দেশে ফেরার স্বপ্নে পানি ঢেলে দিল দুদক এবং দেশের বিচার ব্যবস্থাগুলো।