ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় আমাদের স্বার্থেই স্থাপন করা হয়েছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। চাইলে ছয় মাসের নোটিশে যেকোনো সময় এটি সরিয়ে দেওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ঢাকায় মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তে বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত পোষণ করছেন—উল্লেখ করে এ বিষয়ে তার অবস্থান জানতে চান একজন সাংবাদিক।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এই অফিস স্থাপনের বিষয়ে দুই বছর পর রিভিউ করা যাবে। চাইলে ছয় মাসের নোটিশে যেকোনো সময় সরিয়ে দেওয়া যাবে। তবে আমার মনে হয় না, সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, আমরা তো নিজেদের স্বার্থ দেখেই কাজটি করেছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রস্তাবের পরপরই যে একটি অ্যাগ্রিমেন্ট সই করে দিয়েছি-এমন নয়, আমরা দীর্ঘ সময় নিয়েছি।
আমাদের স্বার্থ যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেটা দেখেই করেছি। তবে বিশেষজ্ঞদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে, বলেন তৌহিদ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাংলাদেশে ওএইচসিএইচআরের অফিস খোলার বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথম জানান। এর এক মাসেরও কম সময়ে সরকারের সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন চালু হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ঘোষণার একদিন পর শনিবার সরকারের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। ১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এই কার্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৯ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিকাশে সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি মিশন খোলার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস এবং বাংলাদেশ সরকার তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর কাতারে ফেলবে। এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বিদেশি বিনিয়োগ, কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণে।