‘প্রেসিডেন্ট বনাম ইলন। কে জিতবে? আমি বাজি ধরছি, ইলনের পক্ষে। ট্রাম্পকে অভিশংসন করা উচিত এবং জেডি ভ্যান্সকে স্থলাভিষিক্ত করা উচিত’, বৃহস্পতিবার দুপুরে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এমন লেখা লিখে একটি পোস্ট করেন মালয়েশিয়াভিত্তিক ডানপন্থী লেখক ইয়ান মাইলস চিওং। তার সেই পোস্টে কমেন্ট করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কমেন্টে তিনি মালয়েশিয়ান লেখকের কথার সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন। লিখেছেন, ‘হ্যাঁ’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক দীর্ঘদিনের মিত্র। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুজনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একে অপরের বিরুদ্ধে বিশেদগার করে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে জার্মান নেতার সঙ্গে বৈঠকের সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, টেসলার সিইওর ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ’। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর মাস্ক বলেছেন ট্রাম্প ‘অকৃতজ্ঞ’।
অন্যদিকে সরকারের হাতে থাকা এবং অপ্রকাশিত ফাইলগুলোতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক থাকার এই তথ্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, ইলনের কাছ থেকে এসব কথা দুর্ভাগ্যজনক। ইলন মাস্ক ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে অসন্তুষ্ট। কারণ, তিনি যে পলিসি চান তা এতে নেই। প্রেসিডেন্ট এই ঐতিহাসিক বিলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের দেশকে আবারও মহৎ বানাতে চান।
জবাবে মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, প্রেসিডেন্টের ২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ের পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল। পাশাপাশি তিনি এক্সে একটি পোস্টে অভিযোগ করেন, ‘ট্রাম্পের যৌন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ধনকুবের জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।’
মাস্ক লেখেন, ‘এবার বড় বোমা ফেলার সময়। ট্রাম্প এপস্টাইনের নথিতে আছেন। এটাই আসল কারণ যে এ নথিগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি।’ পরবর্তী এক্স পোস্টে মাস্ক আরও লেখেন, ‘এই পোস্টটি মনে রাখুন। সত্য একদিন প্রকাশ পাবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র স্টিভ বেনন বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাত ১২টা বাজার আগেই এদিন স্পেসএক্স’কে ‘সিজ’ করা উচিত ট্রাম্পের। কারণ, স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু এ প্রজেক্টে মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে শত শত কোটি ডলার পেয়ে থাকে স্পেসএক্স।