শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগাং
কুশ কুমার কুশল : February 06, 2025
টান টান উত্তেজনা ম্যাচে নাটকীয়ভাবে খুলনা টাইগার্সকে দুই উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে বরিশালের প্রতিপক্ষ চিটাগাং কিংস।
মঙ্গলবার, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ছয়টা ত্রিশ মিনিটে খুলনা টাইগার্স বনাম চিটাগাং কিংস মুখোমুখি হয়।
চিটাগাং কিংস টসে জিতে প্রথমে খুলনা টাইগার্স কে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। খুলনা ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে তে ব্যাটিং বিপর্যায়ে পড়ে এবং কিছুটা ধীরগতিতে রান করতে থাকে। নয় ওভারে ৪২ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে চরম রান খরায় ভোগে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটারা। ১৬ ওভারে খুলনা ৯২ রান করেন।এরপর ক্রিজে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বিধ্বংসী ব্যাটার শিমরন হেডমায়ারের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন। ১৯০ স্ট্রাইক রেটে চার ছক্কা ছয় চারে ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। দলকে এনে দেন একটা লড়াই করা পুজি। শেষ চার ওভারে খুলনা টাইগার্স ঝড়ো গতিতে ৭১ রান করেন। স্কোরবোর্ডে ১৬৩ রান করতে সক্ষম হয়। প্রতিপক্ষ চিটাগাং কিংস ১৬৪ রানের লক্ষ্য মাত্রা ব্যাটিং করতে নেমে বেশ স্বাচ্ছন্দভাবে খেলছিলেন। উদ্বোধনি জুটিতে ব্যাট করতে আসা খাজা নাফাই উইকেটে অনেকক্ষণ যাবৎ অক্ষত ছিলেন। ১৫.১ বলের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। চিটাগাং তখন ১১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে যান। এরপর শুরু হয় ম্যাচের নাটকীয়তা। পাল্টে যায় চিত্রনাট্য দৃশ্যপট। উইকেটে তখন চিটাগাংয়ের দলীয় অধিনায়ক মিঠুন কিছুটা আশা জাগালেও ১৭ ওভারে ১৩০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। চিটাগাংয়ের জয়ের জন্য তখন তিন ওভারে ৩৪ রান দরকার। চিটাগাং প্রথম দুই ওভারে ১৯ রান নেন। চিটাগাংয়ের জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার। ব্যাট হাতে বাহাতি ব্যাটার আরাফাত সানি প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান । দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন। তৃতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে আলিস ইনজুরিতে পড়েন। তার জায়গায় শরিফুল ইসলাম আসেন ব্যাট করতে। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে শরিফুল বাউন্ডারি হাঁকান। জয়ের জন্য চিটাগাংয়ের ২ বলে ৪ রান দরকার। পঞ্চম বলে শরিফুল আউট হয়ে যান। শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান প্রয়োজন। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে আলিস শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চিটাগং কিংসকে জয় এনে দেন। ৭ বলে ১৭ রান করে জয়ের মহানায়ক আলিস ম্যাচ সেরা পুরস্কার নির্বাচিত হন ।