দুই ‘জয়ের সমান’ ড্রয়ের পর দল নিয়ে গর্বিত বাটলার

দুই ‘জয়ের সমান’ ড্রয়ের পর দল নিয়ে গর্বিত বাটলার

স্পোর্টস ডেস্ক : June 05, 2025

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব শুরু করার আগে দারুণ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। শক্তিশালী জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ ড্র করেছে তারা। মিয়ানমারে অনুষ্ঠেয় বাছাইপর্বের কয়েক সপ্তাহ আগে ম্যাচ দুটি খেলেছে। ফলে দলের আত্মবিশ্বাস এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘মেয়েরা অসাধারণ খেলেছে। তারা এটি পাওয়ার যোগ্য। এটা দেখিয়ে দেয়, কঠোর পরিশ্রম করলে তার ফল এক সময় পাওয়া যায়। আমি সত্যিই খুব গর্বিত মেয়েদের নিয়ে।’

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে ৯৪ নম্বরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। এরপর জর্ডানের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায় ৭৪তম র‌্যাঙ্কিংয়ের দলের বিপক্ষে। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। র‍্যাঙ্কিংয়ে এত এগিয়ে থাকা দুই দলকে রুখে দেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য জয়ের চেয়ে কম কী?

তবে সামনে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। এই দুইটি ড্র আগামী বাছাইপর্বে বাংলাদেশের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে মিয়ানমার (৫৫), বাহরাইন (৯২) এবং তুর্কমেনিস্তান (১৪১)। চার দলের ‘সি’ গ্রুপের এই লড়াই চলবে ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত।

নারী ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশটা অনেক অশান্ত ছিল। গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানুয়ারিতে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও আরও ১৭ সিনিয়র খেলোয়াড় কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। তারা অনুশীলনে না এসে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

তবে বাফুফে তখন বাটলারের পক্ষেই ছিল। সেই সময় নতুন দল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই হেরেছিল ৩-১ ব্যবধানে।

পরবর্তীতে বাটলার কিছুটা নমনীয় হন। তিনি আন্দোলনে থাকা কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যেমন মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, রূপনা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, ঋতু পর্ণা চাকমা, তাহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়রকে দলে নেন। তবে সাবিনা, সানজিদা ও মাসুরাকে আর ডাকেননি।

এই অভিজ্ঞদের ফেরায় দলের শক্তি বেড়েছে। এখন কোচ বাটলারের খেলার কৌশল মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারছে দল।

বাটলার বলেন, ‘আমরা ভালো ফুটবল খেলি। আমাদের একটি পরিষ্কার পরিচয় আছে, কিভাবে আমরা খেলতে চাই, আমি চাই দল কিভাবে খেলুক, সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।’

তবে এই ইংলিশ কোচের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো, খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা।

তিনি বলেন, ‘এই সপ্তাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হলো চারিত্রিক দৃঢ়তা… আমি দলের সবাইকে নিয়ে খুব গর্বিত। কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল টিম সবাই দারুণ পরিশ্রম করেছে। আমি মনে করি, আমরা অনেক দৃঢ়তা দেখিয়েছি।’

‘এটা ছিল অসাধারণ একটি শেখার সপ্তাহ। শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। তবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’

Share This