“মেজর সিনহা হত‍্যা পরবর্তী সেনাসদর দপ্তর এবং বিভিন্ন সংস্থার ভুমিকা কি ছিল”

“মেজর সিনহা হত‍্যা পরবর্তী সেনাসদর দপ্তর এবং বিভিন্ন সংস্থার ভুমিকা কি ছিল”

নিজস্ব প্রতিবেদক : May 22, 2025

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (অবঃ) কে গত ৩১ শে জুলাই ২০২০ রাত আনুমানিক ৯ঃ০০ টায় কক্সবাজার - টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শ‍্যামলাপুর চেকপোস্টের নিকটে তদানীন্তন ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে নির্মম ভাবে হত‍্যা করা হয়। 

অনেকে মেজর সিনহা হত‍্যার ঘটনা পরবর্তী বিষয়ে নিজের মতো করে বর্ণনা দিচ্ছেন, কেউ নিজের সম্পৃক্ততা বর্ণনা করছেন, কেউ ক্রেডিট নিতে চাচ্ছেন, আবার কেউ অন‍্যকে হেয় করতে চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু মেজর সিনহার জঘন্যতম হত‍্যার বিষয়ে তদন্ত বোর্ড গঠন, তদন্ত সম্পন্ন, চার্জশীট জমা দেওয়া এবং আদালতে স্বাক্ষী উপস্থাপন পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে সেনাসদর, আর্মড ফোর্সের ডিভিশন (এএফডি), ডিজিএফআই, এনএসআই, ১০ পদাতিক ডিভিশন, এএসইউ এবং র‍্যাব এর সেনাকর্মকর্তারা কি ভূমিকা রেখেছে তা সকলে তাদের লেখায় এবং বক্তব্যে এড়িয়ে যাচ্ছেন। 

প্রকৃত ঘটনা প্রবাহ সকলের জানার জন‍্য এই লেখাটি। ঐ সময় সেনাসদর সহ অন‍্যান‍্য সংস্থার যারা মামলার সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের কারো কারো কাছ থেকে এখানে বর্নিত তথ‍্য এবং তার সত্যতা নিরুপন করা হয়েছে। 

৩১ শে জুলাই ২০২০ রাত আনুমানিক ৯ঃ০০ টায় কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শ‍্যামলাপুর চেকপোস্টের নিকটে  ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (অবঃ) কে নির্মম ভাবে হত‍্যা করা হয়। বিষয়টি রাতেই জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মাইন উল্লাহ সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে জানায়। সেনাপ্রধান তাৎক্ষণিক জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং কমান্ড্যান্ট এএসইউকে বিস্তারিত ভাবে ঘটনাটি জানাতে বলেন। 

পরবর্তী দিন ১ আগস্ট ২০২০ ছিল ঈদের দিন। তা সত্ত্বেও আনুমানিক ৯ঃ৩০ ঘটিকায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং একটি যৌথ তদন্তের জন‍্য দাবী জানান। ঐ দিনই আনুমানিক ১০ঃ৩০ ঘটিকায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল  মাহফুজুর রহমান, পিএসও এএফডি সেনাপ্রধানকে জানান যে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করতে এবং এই বিষয়ে সেনাসদররে পক্ষ হতে একটি চিঠি দিতে হবে এএফডি কে। ০১ আগস্ট ২০২০ দিনটি ঈদের দিন হওয়া সত্ত্বেও সেনাপ্রধানের নির্দেশে এ‍্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এনায়েত সেনাসদরের এজি শাখা অফিস খুলে আনুমানিক ১১ঃ৩০ ঘটিকায় চিঠি তৈরী করে এএফডি তে পাঠানো হয়। ঐ দিনই অর্থাৎ ০১ আগস্ট ২০২০ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমে একজন উপ সচিব কে সভাপতি করে একটি যৌথ তদন্ত পর্ষদ গঠন করে চিঠি বের করে।

সেনাপ্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে নিজে কথা বলে সভাপতির র‍্যাংক নিয়ে আপত্তি জানালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ০২ আগস্ট ২০২০ উপসচিবের পরিবর্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( যুগ্ম সচিব) জনার মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে ০৪ সদস্যের যৌথ তদন্ত পর্ষদ গঠন করে। 

সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পদাতিক কে ঐ পর্ষদের জন‍্য নিয়োগ দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এডিশনাল ডিআইজি জাকির হোসেন এবং কক্সবাজার এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলীকে নিয়োগ দেয়া হয়। আইনী দৃষ্টিকোণ থেকে  তদন্তে যেন  কোথাও কোন দুর্বলতা না থাকে তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেনাপ্রধানের নির্দেশে ক্রিমিন‍্যাল আইনে অত‍্যন্ত দক্ষ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলকে তদন্ত কালে তদন্ত বোর্ডের সেনাবাহিনীর সদস‍্যকে পরামর্শ দিতে কক্সবাজার পাঠানো হয়। এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় বাড়ি হওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল) কে তদন্তে সহায়তার জন‍্য কক্সবাজার পাঠানো হয়। তদন্তটি সার্বিক ভাবে তদারকির জন‍্য জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন কে সেনাপ্রধান দায়িত্ব দেন। র‍্যাবের পক্ষ থেকে কর্নেল (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) তোফায়েল, এডিশনাল ডিজি র‍্যাব এবং কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম এই তদন্তে সার্বিক সহযোগিতা এবং ব‍্যাস্থাপনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। 

পুলিশের পক্ষ থেকে এই হত‍্যার ঘটনাটি তদন্ত থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ সাক্ষীদেরকে টাকার প্রলোভন দিয়ে, ভয় ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা, পুলিশ কর্তৃক গুম করার ভয়ও দেখানো হয়। এমনকি স্বাক্ষীরা যেন আদালতে না যায় তার জন‍্য আত্বীয়দেরকে ভয় দেখানো, এবং সর্বশেষ কক্সবাজার থেকে মামলাটি ঢাকা কোর্টে স্থানান্তরিত করতেও পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ১০ পদাতিক ডিভিশন, কক্সবাজার এনএসআইয়ের কর্নেল মেজবাহ, ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর কারনে পুলিশের বা আসামী পক্ষের অপতৎপরতা যথা সময়ে জানতে পেরে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম এর  সাহায্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষীদেরকে স্বাক্ষ‍্য প্রদান শেষ না হওয়া পর্যন্ত রামু সেনানিবাস ও অন‍্যান‍্য নিরাপদ স্থানে এনে রাখার ব‍্যবস্থা করা হয়েছিল। 

পুলিশ সেখানেই থেমে ছিলনা, পুলিশের পক্ষ থেকে হত‍্যা ঘটনার তদন্তে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করছে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর নিকটও  একাধিকবার অভিযোগ করেছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ, পিএসও এএফডি, ডিজি ডিজিএফআই এবং ডিজি এনএসআই মেজর সিনহা হত্যার বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান এবং পুলিশের অপতৎপরতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে বুঝান এবং তদন্তে বিঘ্ন হতে দেন নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ক‍্যাবিনেট সেক্রেটারি জনাব আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ‍্যসচিব জনার কায়কাউস, পিএসও এএফডি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজ, পুলিশের আইজি বেনজির, এ‍্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এনায়েত, ডিজি ডিজিএফআই মেজর জেনারেল (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল) সাইফ, ডিজি এনএসআই মেজর জেনারেল জুবায়ের সহ পুলিশের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়েও মিটিং হয় যেখানে এই হত‍্যার ঘটনার তদন্তটি সুস্ঠু ভাবে সম্পন্নে লক্ষ‍্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বক্তব্য শোনা হয় এবং  তদন্তে কোন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি না করার জন‍্য পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা গুলিকে নির্দেশ দেয়া হয়। এমনকি হত‍্যা ঘটনা পরবর্তী একটি কৃত্রিম সংকট তৈরীর চেষ্টাও হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। ০৩ আগস্ট ২০২০ রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সেনাপ্রধানকে জানান যে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনার পর কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে ক‍্যাম্প থেকে রের হতে ভয় পাচ্ছে এই ভেবে যে মেজর সিনহা হত্যার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন প্রতিশোধ মূলক ব‍্যবস্থা নেয় কিনা।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে বিষয়টির খোঁজ নিতে এবং পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্ন না হয় তার জন‍্য প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। সেনাপ্রধান জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মাইনুল্লাহ এবং জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল) মতিউর রহমানকে ৩/৪ আগস্ট রাতে বিষয়টি দেখতে বলেন। তখন দেশে ঈদের ছুটি চলছিল এবং কক্সবাজার সহ সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। 

১০ পদাতিক ডিভিশনের সিনিয়র অফিসার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সাথে কথা বলতে এবং ঘটনাস্থল দেখতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদকে সাথে নিয়ে ০৫ আগস্ট কক্সবাজার যায়। ১০ পদাতিক ডিভিশনের ব‍্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের “জলতরঙ্গ” এ সেনাপ্রধান উপস্থিত সিনিয়র সেনাঅফিসার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সাথে  কথা বলেন এবং হত‍্যার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন‍্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। অতঃপর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। 

পুলিশের পক্ষ থেকেও মেজর সিনহা হত‍্যরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের আইনের হাতে সোপর্দন করে সুষ্ঠু বিচারে সব ধরনের সহায়তা করবেন বলে আইজিপি বেনজির উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন। 


৫ আগস্ট ২০২০ মেজর সিনহার বোন বেগম শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী আদালতে হত‍্যা মামলা রুজু করেন।

০৬ আগস্ট ২০২০ ওসি প্রদীপ সহ মোট ০৫ জনকে প্রাথমিক ভাবে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাসুদকে প্রত‍্যহার করা হয় এবং পরে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার জেলার প্রায় ১৫০০ পুলিশকে অন‍্যত্র বদলী করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করা হয়। 
৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে খুনি ওসি প্রদীপ এবং সাব ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং সাব ইন্সপেক্টর নন্দ দুলাল রাকসী, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, নেজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন ও আয়েজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। 

তদন্ত চলাকালে রাওয়ার চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) আবসার এবং রাওয়ার পক্ষ থেকে মেজর সিনহা হত‍্যা মামলা তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক সিজিএস ও সাবেক ডিজি বিজিবি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মঈনুল ইসলাম সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের সাথে সেনাসদরে দেখা করেন। মামলার বিষয়ে সেনাসদরের পক্ষ থেকে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা রাওয়ার প্রতিনিধিদের জানান হয়। এ ‍ছাড়াও রাওয়ার একটি দল নিয়ে চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) আবসার এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মঈনুল ইসলাম কক্সবাজার গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত সেনাবাহিনীর নিয়োজিত আইনজীবী এবং অন‍্য সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সেনাসদরের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। রাওয়ার পক্ষ থেকে মেজর সিনহা হত্যার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন এবং রাস্তায় মানববন্ধন করা নিঃসন্দেহে সমাজে জনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। 

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিএসও এএফডি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাহফুজ, এ‍্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এনায়েত, ডিজি ডিজিএফআই মেজর জেনারেল (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল) সাঈফুল ইসলাম, ডিজি এনএসআই মেজর জেনারেল জুবায়ের, এবং জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মাঈন উল্লাহ ও তার অফিসারগন, এডিশনাল ডিজি র‍্যাব কর্নেল (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) তোফায়েল, কমান্ড্যান্ট এএসইউ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাজুল ইসলাম (অবঃ), ডিপিএস, ডিএসআই এবং র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক বিমান বাহিনীর অফিসার উইং কমান্ডার আজিম সহ সংশ্লিষ্ট অন‍্যান‍্যরা তদন্ত থেকে চার্জশিট প্রধান এবং স্বাক্ষিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আদালতে উপস্থাপনে যে ভুমিকা পালন করেছে তা মেজর সিনহা অবসরপ্রাপ্ত হলেও এক কমরেডের বর্বরোচিত মৃত‍্যুকে মেনে নিতে পারেনি বলে যার যার অবস্থান থেকে সকলেই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। রাওয়ার ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়। এমনটাই হওয়া উচিৎ ছিল এবং হয়েছে বলেই কাঙ্খিত রায় পাওয়া গেছে। 

মেজর সিনহা হত‍্যা পরবর্তী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের যেই বর্ননা এখানে দেয়া হয়েছে তা যাচাইয়ের জন‍্য আগ্রহী যে কেউ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সঠিকতা নিশ্চিত হতে পারেন। 

সঠিক তথ‍্য জানা যেমন জরুরী তেমন কারো অবদানকে অস্বীকার করা  ছোট মনের  পরিচয় দেয়। আল্লাহ মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান কে বেহেশত নসিব করুন এবং খুনিদের সাজা দ্রুত কার্যকর করুন।

Share This